মির্জা ফখরুল ও চরমোনাই পীরের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আদায়ের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দশটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তি
নি।
১৫ টা ৪ মিনিট, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
মির্জা ফখরুল ও চরমোনাই পীরের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আহমেদ সালেহীন
২ মিনিটে পড়ুন
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দুপুর ১২টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক চলে প্রায় দুই ঘণ্টা।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে মির্জা ফখরুল জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আদায়ের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া দশটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করীম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলমান থাকবে। নির্বাচনের বিষয়েও বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম টেকসই গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৩. ভোটাধিকারসহ সব মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের কথা বললে এরশাদের মতো উপদেষ্টাদের চুলও দাঁড়িয়ে যায়: হাফিজ
৪. ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৫. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং সব অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।
৬. আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তি দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।
৭. ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলব না।
৮. ভবিষ্যতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকব।
৯. ইসলামি শরিয়াহবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেব না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলব না।
১০. প্রশাসনে এখনও বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা।
এর আগে ২১ জানুয়ারি বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের (চরমোনাই পীর) সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান।
0 Comments